জরু মিয়া, বয়স ৫৫ বছর ৩১.০৭.২০২২ সকালে উনার ক্ষেতে কাজ করার সময় আনুমানিক সকাল ১১:৩০ দিকে সীমান্তবর্তী বিজয়নগর থানাধীন দুলালপুর গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে আহত হন। বিকাল ৩ টা থেকে তিনি বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে শুরু করেন। তারপর বিকাল ৫টার দিকে তাকে অত্র হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে সন্ধ্যা ৬:০০টায় ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাকে ঢমেক হাসপাতালে রেফার করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য, কিন্তু তিনি ঢাকা যেতে রাজি হননি। কারণ ঢাকা যেয়ে চিকিৎসা নেওয়ার মতো সামর্থ্য তার ছিল না, অনেকটা মৃত্যু আশঙ্কা নিয়েই তিনি অত্র হাসপাতালে রয়ে যান। ০১.০৮.২০২২ সকালে অত্র হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মারুফ হোসেন ওয়ার্ডে রাউন্ড দেয়ার সময় তাকে দেখেন এবং সিদ্ধান্ত নেন অত্র হাসপাতালেই তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমাদের হাসপাতালের স্বল্প সুযোগ সুবিধা নিয়ে তার নেতৃত্বে দুপুর ১২:২০ মিনিটে এন্টি ভেনম দিয়ে রোগীর চিকিৎসা শুরু করা হয়। এখানে বলে রাখা ভালো যে এন্টি ভেনাম এর চিকিৎসা একটি জটিল চিকিৎসা এবং এর জন্য আইসিইউ ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি, এসব সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সাহসী উদ্যোগে রোগীর চিকিৎসা শুরু করেন। আলহামদুলিল্লাহ চিকিৎসা শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেন এবং আমাদের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে রোগী আজ বাসায় ফিরে যায়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্যার এজন্য সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভিডিও কার্টেসি: ডাঃ মারুফ হোসেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস